Discussions
সঠিক চিকিৎসার জন্য জানা দরকার চর্ম রোগের ঔষধের নাম
চর্ম রোগ আমাদের শরীরের অন্যতম সাধারণ সমস্যা, যা যেকোনো বয়সেই দেখা দিতে পারে। এটি কখনো ফুসকুড়ি, দাগ, চুলকানি, শুকনো ত্বক বা দানার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। বাংলাদেশে গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে চর্ম রোগের প্রকোপ অনেক বেশি। সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের জন্য একজন রোগীর প্রাথমিকভাবে জানা উচিত কোন ধরনের চর্ম সমস্যা তার হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী কোন ঔষধ গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়।
চর্ম রোগ প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়— ছোঁয়াচে ও অছোঁয়াচে। ফাঙ্গাল ইনফেকশন, স্ক্যাবিস, একজিমা, সোরিয়াসিস ইত্যাদি হলো এমন কিছু রোগ যা ত্বকে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। এগুলোর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় ক্রিম, ট্যাবলেট, অ্যান্টিফাঙ্গাল বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। অনেকেই প্রাথমিক চুলকানি বা দাগ হলে ফার্মেসিতে গিয়ে সরাসরি ঔষধ কিনে নেন, কিন্তু এই অভ্যাস অনেক সময় আরও বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে।
বর্তমানে বাজারে বেশ কিছু সাধারণ ও বহুল ব্যবহৃত চর্ম রোগের ঔষধ পাওয়া যায়। যেমন — ক্লোট্রিমাজল ক্রিম, একোনাজল, ফুসিডিক অ্যাসিড, টের্বিনাফিন ট্যাবলেট, ইটার্না লোশন ইত্যাদি। এসব ওষুধ নির্দিষ্ট রোগের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ফাঙ্গাল ইনফেকশনের জন্য ব্যবহৃত হয় ক্লোট্রিমাজল বা টের্বিনাফিন, আবার ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের জন্য ফুসিডিক অ্যাসিড ক্রিম ব্যবহার করা হয়। তবে এসব ওষুধ ব্যবহারের আগে সঠিক রোগ নির্ণয় করা জরুরি, নাহলে উল্টো প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
এখন অনেকে গুগলে খুঁজে দেখেন চর্ম রোগের ঔষধের নাম, কিন্তু সেখানে দেওয়া তথ্য সবসময় বিশ্বাসযোগ্য নাও হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। বিশেষ করে বাচ্চাদের বা গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে যেকোনো ঔষধ ব্যবহারে আরও বেশি সতর্কতা প্রয়োজন।